১৫৯৯ সালে বার ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর মোগল সম্রাটের সেনাপতি মানসিংহ বার ভূঁইয়াদের দমন করার জন্য গজরল খাঁকে প্রেরণ করেন। এই যুদ্ধে গজরল খাঁর মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র ইস্পিঞ্জার খাঁ ও মনোয়ার খাঁ রাজা যশোধর সিংহের দুই কন্যাকে বিবাহ করে প্রথমে সেনবাড়ী ও পরে আমনগ্রাম নামক স্থানে (বর্তমান ধনবাড়ী উপজেলার অর্ন্তগত) পরীখা নির্মাণ করে বসবাস করতে থাকেন। এই এলাকা নিরাপদ নয় ভাবিয়া পরে ইস্পিঞ্জারপুরে শক্তিশালী পরীখা তৈরী করেন। এদিকে ফলদার রাজা যশোধর ইস্পিঞ্জার খাঁ ও মনোয়ার খাঁকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়ে দিল্লীশরের শরনাপন্ন হন। দিল্লীর মোগল সুবাদার ইসলাম খাঁ ইস্পিঞ্জার খাঁ ও মনোয়ার খাঁকে দিল্লীতে তলব করেন। পরে রাজা যশোধর সিংহের কন্যাদয় এবং খাঁ ভ্রাতৃদ্বয়ের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে খাঁ ভ্রাতৃদ্বয়কে মুক্তি দেন এবং পুকুরিয়া পরগনার দায়িত্ব দেন। পুকুরিয়া পরগনা দখল করার পর খাঁ ভ্রাতৃদ্বয় মোগল অধিকার রক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়িয়া তোলেন। মোগল বাদশাহের নির্দেশে তাহারা তখন ধনপত সিংহের রাজধানী ধনবাড়ীতেই রাজধানী স্থাপন করিয়া বসবাস করিতে থাকেন। ধনপত নামের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই টাংগাইলের মাটি মহাকালের অমর গৌরব গাথা বক্ষে ধারন করে আদিকাল থেকে সারাদেশে আলোচিত হয়ে আছে “ধনবাড়ী”।
ঐতিহ্যবাহী ধনবাড়ীতেই ১৯৯৬ সালের ১২ আগস্ট ২৪.৮৯ বর্গ কিলোমিটার অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ধনবাড়ী পৌরসভা যাহার বর্তমান লোকসংখ্যা ৩৬০০৮। প্রতিষ্ঠাকালে “গ” শ্রেণিভূক্ত হলেও বর্তমান পৌর-পরিষদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ২৬ মে ২০১১ খ্রি: তারিখে পৌরসভাটি “খ” শ্রেণিতে উন্নীত হয়।